লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল ক্রয় প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও ধান নিয়ে সংশয়ে খাদ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪ | আপডেট: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ,

কয়েক মৌসুম ধরে মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর। সরকারি পর্যায়ে খাদ্য সংকট নিরসনে গুদামে মজুদ করার জন্য ধান-চাল কৃষক পর্যায় থেকে ক্রয়ের জন্য প্রতি কৃষি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা দিলেও নানা কারণে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার টন ধান বা ৫৭ শতাংশ ধান কেনা শেষ হয়েছে। সেদ্ধ চাল কেনা হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৬৩ টন বা ৮৮ শতাংশ এবং আতপ কেনা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৫২ টন বা ১০৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ধান, সেদ্ধ ও আতপ চালের লক্ষমাত্রা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭২৩ টন হলেও  সংগ্রহ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৫ টন বা ৮৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। চলতি মৌসুমে ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা কেজি প্রতি দাম নির্ধারণ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মাঠ পর্যায়ের ধান খাদ্যগুদামে সংগ্রহ করা হয়। সেদ্ধ ও আতপ চাল কেনা প্রায় শেষের পথে। তবে ধান কেনা শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হবে কিনা সেটা নিয়েই সংশয়ে তারা। আবার ধান বিক্রির টাকা সরকারি পর্যায়ে পেতে একটু দেরি হয়। এ কারণেও অনেক কৃষক সরাসরি ধান ও চাল বিক্রি করতে আসেন না। তবে কৃষক বলছেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে চাইলে হয়রানি তো আছেই, সঙ্গে কমিশন দিয়ে বিক্রি করা লাগে। অনেক সময় ধান ফেরত দেয়া হয়। ধান উৎপাদন করে সেটা বিক্রি করলে খুব বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব হয় না। বিক্রি করলে টাকাও দরকার হয়। দ্রুত টাকা পাওয়ার জন্য বাইরে আড়তদারদের কাছে ধান বিক্রি করেন কৃষক। এজন্য সরকারি গুদামে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। সূত্র:বনিক বার্তা



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *