চট্টগ্রামে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৫ কোটি টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ নিবরাস। মামলায় অন্য আসামি হলেন, র্যব-৭ এর সাবেক এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকী। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্ণধার নুর মোহাম্মদের কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন সাবেক আইজিপি ও তৎকালীন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে বন্দর থানার চোরাচালান ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামি করে দেন। ডিবি পুলিশ তদন্তে নুর মোহাম্মদের নাম বাদ দেন। নগরের পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর কার্যালয়ে ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি নুর মোহাম্মদকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বেনজীরের জন্য এএসপি মহিউদ্দিন ফারুক পুনরায় ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। নিজের জন্য দাবি করেন ১ কোটি টাকা। কোনো টাকা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। কোকেন সন্দেহে পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আসা সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১টি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ ৪টি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোকেন জব্দের ঘটনায় নগরের বন্দর থানায় আইনে মামলা হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ৮ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল তেলের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।