মুরাদপুরে ময়লার গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ
সাংবাদিক লিটন: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫২ নং ওয়ার্ডের হামিদা পাম্পের পাশের গলি মুরাদপুর এলাকা টি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় সব সময় মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা ময়লার বিড়ম্বনায় ভূগছে। হামিদা পাম্পের পাশের সড়কে কয়েকটি ময়লার কন্টেনার দিনের পর দিন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরেই দুটি কন্টেনারে ময়লা কমাতে নিয়মিত আগুন দেয়া হয়। ফলে ময়লার যত গন্ধ তার চেয়ে বেশি পোড়া ময়লার দুর্গন্ধ। এলাকার মানুষ ময়লাপোড়া গন্ধে রীতিমতো অস্থির। নাকে রুমাল বা কাপড় দিয়ে চলতে হয় সবাইকে।
ময়লার ভাগাড়ে বিশুদ্ধ বাতাস নেয়ার কোন সুযোগ নেই মুরাদপুর এলাকাবাসীর। রাতদিন উন্মুক্ত ময়লা আবর্জনার কর্মযজ্ঞ কবে শেষ হবে- প্রশ্ন ৫২ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষের।
মুরাদপুর আবাসিক-বাণিজ্যিক মিলিয়ে পুরোটাই এখন ঘনবসতি। এখানকার হামিদা পাম্পের পাশের গলি তে উন্মুক্ত ময়লার সারি সারি কন্টেনার। অর্ধেক রাস্তা বন্ধ করে এখানে রাতদিনের কর্মব্যস্ততা। অথচ এর এর পাশে ঘন জনবসতি পূর্ণ এলাকায় মানুষের বসবাস। রয়েছে স্কুল, মসজিদ মাদ্রাসা ও স্থানীয় ছোট ছোট মুদির দোকান সহ অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
কন্টেনার ডিপো ঘেঁষে উন্মুক্ত খাবারের দোকান বাসা বাড়ি সহ প্রতিষ্ঠানের কমতি নেই।
মঙ্গলবার একঘণ্টা দাঁড়িয়ে দেখা যায়, সব ময়লা আবর্জনা ভ্যানে করে রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। আরেক দল পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাস্তা ময়লা কন্টেনারে তোলার চেষ্টা করছে। তবে ময়লা থেকে কাগজ, বোতলসহ বিক্রিযোগ্য জিনিসপত্র আলাদা করতে সময় বেশি লাগে। সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্গন্ধ।
স্থানীয়রা জানালেন, এই ডাস্টবিনের কারণে এলাকার বাতাস আরও দূষিত হয়ে গেছে, সারাক্ষণ বাতাসে ভেসে বেড়ায় ময়লা পচা দুর্গন্ধ। এই গলিতে রয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুরাদপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ রয়েছে বেস কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হাজারো শিশুর দিনভর আনাগোনা এই সড়কে। অথচ এ নিয়ে কারও কোন মাথাব্যথা নেই। তবে শিক্ষার্থী সহ অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের দাবি দ্রুত এসব ডাস্টবিন সরিয়ে নেয়া হোক।
ক্লিন সিটি করার ঘোষণা যখন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে ,৫২ নং ওয়ার্ডের রাস্তায় রাস্তায় এমন দৃশ্য কেন?