কুমিল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ায় বি এন পি নেতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক ||
কুমিল্লা মহানগর ১৫ নং ওয়ার্ডে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকে গত ২৯ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় কুমিল্লা মহানগর বি এন পির প্রতিষ্ঠাকালিন আহ্ববায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও কুসিক ১৫ ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
এ বিষয়ে আহত বি এন পি নেতার স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী বাদী মোসাঃ শামীমা আক্তার থানায় হাজির হইয়া উল্লেখিত বিবাদী নাজমুল হাছান দিপু, রেজাউল হাছান রিদয়, মোঃ রানা, বাপ্পি এবং বিবাদীদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, ১নং সাক্ষী আমার স্বামী কুমিল্লা মহানগর বিনএপির প্রতিষ্ঠাকালিন আহ্ববায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও কুসিক ১৫ ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। ইহা ছাড়া কুমিল্লা চকবাজার
এ্যারাবিয়ান সুইটস্ এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক বটে। ২নং সাক্ষী আমার দেবড় কুসিক ১৫নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা। উল্লেখিত বিবাদীগণ বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মদদ পুষ্টে লালিত পালিত ছাত্র লীগের কর্মী ও ক্যাডার বাহিনী। ছাত্র লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিবাদীগণ শহর জুরে সন্ত্রাসী-মাস্তানি, চুরি-ছিনতাই, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা করিয়া থাকে। বিবাদীগণ শহরের যেকোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অপরাধের মূল হোতা। বিবাদীগণ এতই দূধর্ষ যে, বিবাদীদের ভয়ে কেহই বিবাদীদের সৃষ্ট খুন-জখম, ধর্ষন অপরাধের প্রতিবাদ করিতে সাহস পায় না। এরই ধারাবাহিকতায় বিবাদীগণ এবং বিবাদীদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ চকবাজার পৌরসভা মার্কেটের আমার স্বামীর দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন দোকানের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া দোকানের মালিকদেরকে অস্ত্রের ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করিয়া জিম্মি করিয়া, দোকানের ভিতরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা-গাঁজা, ফেনসিডিল ইত্যাদি রাখিয়া বিবাদীগণ তাহাদের বড়িতে ফিটিং করিয়া বা অন্যান্য মাদক ব্যসায়ীদের নিকট সরবরাহ করিয়া থাকে। বিবাদীদের বেআইনী উৎপাতে মার্কেটের অন্যান্য দোকানের মালিক অসহ্য ও অতীষ্ঠ্য হইয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে আমার স্বামীর নিকট বিচার সালিশ দিয়ে আসিতে থাকে। বিবাদীদের সহিত প্রতিবাদ করিলে খুন-জখম ও চাঁদা বাজীর ভয়-ভীতি প্রদর্শণ অব্যাহত রাখিয়াছে। এরই জের ধরে অত্র অভিযোগের ঘটনার তারিখ ও সময়ে বিবাদীগণ ১নং বিবাদীর দোকানে মাদক জাতীয় ইয়াবা টেবলেট বিবাদীদের বস্তিতে ফিটিং করিতে থাকে। পার্শ্ববর্তী দোকানের মালিকরা আমার স্বামীকে উক্ত ঘটনা জানাইলে, আমার স্বামী ও আমার দেবর ঘটনাস্থলে যাইয়া বিবাদীদের সহিত প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ আমার স্বামী ও দেবড়কে এলোপাতারিভাবে মারপিট করিয়া সাক্ষীদ্বয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে, আমার স্বামীর মাথার পিছনের অংশে এবং বাম চোখে ঘাই মারিয়া রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ২নং সাক্ষীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২নং সাক্ষীর বাম চোখে ঘাই মারিয়া চোখের মনি কেটে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। ৩নং বিবাদী আমার স্বামীর এবং ৪নং বিবাদী ২নং সাক্ষীর গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাস রুদ্ধ করিয়া আমার স্বামী ও দেবড়েকে হত্যার চেষ্টা করে। ১নং বিবাদী আমার স্বামীর সাথে থাকা নগদ ৪০,০০০/= (চল্লিশ হাজার) টাকা এবং ২নং বিবাদী আমার দেবড়ের সাথে থাকা নগদ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। ১নং বিবাদী আমার স্বামীর ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোন সেট ঘটনাস্থলে আছার মারিয়া ভাঙ্গিয়া প্রায় ৩৫,০০০/- (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করিয়াছে। শোর-চিৎকার শুনিয়া আশে-পাশের লোকজন আসিলে বিবাদীগণ আমার স্বামীকে এবং আমার দেবরকে খুন করিয়া ফেলিবে মর্মে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া চলিয়া যায়। আমি ও আমার ছেলে, ৩নং সাক্ষীর মাধ্যমে উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া ঘটনাস্থলে যাইয়া জখমীদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। ১নং সাক্ষী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীণ এবং ২নং সাক্ষীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখিয়া, ২নং সাক্ষীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাঃ ঢাকা লায়ন্স আই ইন্সটিটিউশন হাসপাতালে রেফার করে। ২নং সাক্ষী ঢাকা চিকিৎসাধীন। জখমীদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় এজাহার দায়েরে বিলম্ব হইল। উক্ত ঘটনার পর বিবাদীগণসহ প্রায় ২৫জন অজ্ঞাতনামা বিবাদী হাতে দা ছেনি লইয়া আমাদের উল্লেখিত ঠিকানার বাড়ীর আশে-আর্শ্বে মোহড়া প্রদান করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, তিনি এবং তার পরিবার এই অবস্থায় জীবনের হুমকি ও আতংকে রয়েছেন, প্রশাসন ও সকলের প্রতি সহয়তার আহবান জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আমরা বেবস্থা নিচ্ছি।