কুমিল্লা মনোহরগন্জে আদালত অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশিত: 1:10 am, December 24, 2024 | আপডেট: 1:10 am,

কুমিল্লা মনোহরগন্জে আদালত অবমাননার অভিযোগ

মোঃ সাব্বির হোসেন, নিউজ ডেক্সঃ

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা রায় দেওয়ার পরেও কোর্টের রায় না মানার অভিযোগ ।

মোছা: নাছিমা আক্তার স্বামী মৃত আনোয়ার হোসেন,সাং হাসনাবাদ পোস্ট হাসনাবাদ বাজার,থানা মনোহরগঞ্জ ,জেলা কুমিল্লা তিনি জানান

একই গ্রামের বাসিন্দা ১।মোঃ আমিনুল হক (৪৫) পিতা: মৃত লাল মিয়া ২। আরাফাত (২০) পিতা মোঃ আমিনুল হক ৩। মমিনুল হক (৬০) পিতা মৃত লাল মিয়া, সর্বসাক্ষ্ সাং হাসনাবাদ পাটোয়ারী বাড়ি,পোস্ট হাসনাবাদ থানা মনোহরগঞ্জ জেলা কুমিল্লা,

মনোহরগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ গ্রামে, পাটোয়ারী বাড়ির পৈত্রিক সূত্রে আমি জমির মালিক হয়ে আমার জায়গায় ভোগ দখলে আছি , কিন্তু বিবাদীরা জোরপূর্বক ভাবে আমার জমি, তাদের জমি বলে দাবি করে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দেয় -গত ১৫/১০/২৪ ইং জমি দখল করার উদ্দেশ্যে আমার ঘরের পূর্ব দিকে দেওয়াল নির্মাণ করার জন্য আসে, নাছিমা আক্তার তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে বিবাদীরা তাকে বলে জমি ছেড়ে দিতে জমি যদি না ছাড়ি স তাহলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো নাছিমা আক্তার বলে জমি নিয়ে কোর্টে মামলা চলছে যাহার মামলা নম্বর ৪৬০/২৪ এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারা মোতাবেক নোটিশ দিয়েছে যার (ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারা মোতাবেক নোটিশ
সূত্র: (পি,মামলা নং ৪৬০/২৪, স্মারক নং-৬২৮/এডিএম-০২,ধারা-১৪৫ ফৌ: কা:বি:) মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কোর্ট আপনাদের জমির কাছে আসতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, নাছিমা আক্তার বলে যদি মামলার রায় আপনারদের পক্ষে আসে আমরা জমি ছেড়ে দিব মামলা শেষ না পর্যন্ত জমিতে আসবেন না, তখন মোঃ আমিনুল হক আরাফাত ও মমিনুল হক বলে কোর্ট কাচারি মানিনা আমাদের জমি ছেড়ে দে এই বলে অকাট্ট ভাষায় গালাগালি করে হুমকি-ধমকি দেয় ও মারার জন্য তেড়ে আসে ।

তখন নাছিমা আক্তার মনোহরগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেন, তৎক্ষণিক থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সব কিছু সরজমিনে তদন্ত করে দেখতে পাই এবং কোর্টের রায় অনুযায়ী বিবাদীকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়, বিবাদীরা তখন কিছু সময়ের জন্য কাজ বন্ধ করলেও পুলিশ প্রশাসন চলে যাওয়ার পরে তাদের কাজ চলমান রাখে এবং সেখানে একটা দেওয়াল নির্মাণ করে । নাছিমা আক্তার পুনরায় থানায় জানালে থানার কতৃপক্ষ এটাকে বেশি আর আমলে নেয়নাই , তাই কোন উপায় না পেয়ে গত ১৯/১০/২৪ ইং নাছিমা আক্তার মনোহরগঞ্জ উপজেলা সেনাবাহিনী কর্মরত ক্যাম্পে, ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ করেন , ক্যাম্প থেকে কর্মরত সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে এবং প্রকৃত ঘটনা শোনা ও কোর্টের নিষেধাজ্ঞা দেখার পরে কাজ বন্ধ করেন এবং নির্দেশ দেন কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত আর কোনো কাজ না করার,কিন্তু কথা একটা থেকেই গেলো কোর্টের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পাওয়ার পরেও এবং থানা থেকে পুলিশ প্রশাসন নিষেধ করার পরেও তারা যে আইন অবমাননা করে নিজেদের ক্ষমতার বলে দেওয়াল নির্মাণ করেছে তাদের এই ক্ষমতার উৎস কোথায় ? ।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *