ঢাকা মহানগর জাগরণ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে দোয়া মাহফিল


জাহাঙ্গীর আলম পলক :ঢাকা মহানগর জাগরণ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর জুরাইনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ হানিফ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়। এছাড়া সংগঠনের সদস্যদের সুস্থতা কামনা ও সকল অসহায় দুস্থ মানুষের জন্যও বিশেষ দোয়া হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ নাসিরউদ্দিন শেখ। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, প্রচার সম্পাদক মোঃ বাদল, অগ্রযাত্রা পত্রিকার প্রতিবেদক জাহাঙ্গীর আলম পলক, সংবাদের পাতার সম্পাদক এম এ জব্বার, রুপান্তর বাংলা পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জনি, আনন্দ টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার মনির হোসেন, গ্লোবাল নিউজ এর প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন সহ শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাবের সদস্যরা এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
সভাপতি হানিফ বলেন আপনারা নিশ্চই জেনে আনন্দিত হবেন যে, আমরা বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থদের ভিক্ষার হাতকে কর্মীর হাতে রুপান্তরের যে উদ্যেশ্য নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করেছি, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আপনারা আমাদের এই মহতি উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবেন।
আরো বলেন যে কোন দেশের উন্নতির প্রথম শর্ত হলো দারিদ্রতা দূরীকরণ, প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো পূরন করতে পারলেই একটি দেশ দ্রুত উন্নয়নের শীখরে পৌঁছায়। আর একটি দেশের উন্নয়ন তথা দারিদ্রতা দূরীকরণে শুধু মাত্র দেশের সরকারের উপর নির্ভর না করে যদি দেশের সাধারণ নাগরিকরা প্রত্যেকে যার যা সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসে তবে উন্নয়নের গতি বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা প্রত্যেকেই একটি কথা নিশ্চই জানি যে, “দশের লাঠি একের বোঝা” তাই আমি আহ্বান করবো আপনাদের সামর্থ অনুযায়ী যদি এই মহৎ উদ্দেশ্যে গঠিত সংগঠন ঢাকা মহানগর জাগরণ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার পাশে অবস্থান করেন তবে আমাদের লক্ষ্য পূরণ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
একনজরে ঢাকা মহানগর জাগরণ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
(১) নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করিবার উদ্দেশ্যে সামাজিক শিক্ষা, বয়স্কদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
(২) যে সমস্ত ছেলে-মেয়েরা মাদক সেবনে আসক্ত তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহন করা।
(৩) সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ থেকে জনগণকে বিরত রাখবার উদ্দেশ্যে চিত্ত-বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গ্রহন করা।
(৪) সমাজ কল্যাণ কার্য্যে সহযোগিতা এবং এতিমদের লালন-পালন ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(৫) ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের কল্যাণ।
(৬) প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ, দৈহিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ।
(৭) প্রতিবন্ধী শিশু, যুব ও নারী কল্যাণ।
(৮) পরিবার পরিকল্পনা।
(৯) সমাজকল্যাণ সংস্থা সমূহের সমন্বয় সাধন।
(১০) প্রতিবন্ধীদের জন্য আনুষ্ঠানিক ও অনাষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা।
(১১) জনগনের মধ্যে পারস্পারিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বৃদ্ধি করা।
(১২) দুস্থ, এতিম ও অবহেলিত শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম।
(১৩) প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করা।
(১৪) দরিদ্র শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ।
(১৫) যুব সম্প্রদায়ের খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও চিত্ত বিনোদনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন।
(১৬) গণ গ্রন্থাগার স্থাপন করা।
(১৭) স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, টিকা দান ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কার্যক্রম গ্রহণ ও সামাজিক স্বাস্থ্য সেন্দ্র স্থাপন করা।
(১৮) নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধসহ মৌলিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও সংসক্ষন করা।
(১৯) সামাজিক ও নাগরিক সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়ন ও সংরক্ষন করা।
বাস্তবিক অর্থে দেশের উন্নয়নের জন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করে শেষ করার মত নয় তাই আজকের এই মহতি সভায় সংক্ষিপ্ত আকারে কয়েকটি লক্ষ ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করলাম এর বাহিরেও আপনাদের যে কোন পরামর্শ আমরা সানন্দে গ্রহণ করে তা আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আপনাদেরই সার্বিক সহায়তায় বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।