ত্যাগী ও কারা নির্যাতিতরা মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে অবমূল্যায়িত

প্রকাশিত: 5:42 am, December 28, 2024 | আপডেট: 5:42 am,

ত্যাগী ও কারা নির্যাতিতরা মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে অবমূল্যায়িত

মোঃ ইউনুস হোসেন রনি: বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হবে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও কবে নাগাদ নতুন কমিটি ঘোষণা হবে এমন প্রশ্নের দানা বাধে সকলের মনে। সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলেও অনেকটা হুট করেই গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে হঠাৎ করেই, ঘোষণা করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের নতুন কমিটি।

ত্যাগী ও কারা নির্যাতিতরা মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে অবমূল্যায়িত

কমিটি গঠন করা হয়েছে ১০ সদস্য বিশিষ্ট। এতে বাদ পড়েছেন সাবেক আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং নবগঠিত কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সদ্য সাবেক আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক গন। তবে স্থান পাননি সদ্য সাবেক আহবায়ক কমিটির কোনো সদস্যবৃন্দ।

 

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক বৃত্তি ও ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং সদ্য সাবেক আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ মোতালেব হোসেন আকাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন হয় বিভিন্ন ত্যাগী ও যোগ্য প্রার্থী দ্বারা যারা সক্রিয় ভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখে এবং দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখে। আমি বিগত আন্দোলন সংগ্রাম গুলোতে ছিলাম এবং এখনো সক্রিয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছি অথচ কমিটিতে আমার নাম নেই। আর যাদের দ্বারা কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা আমারই সহযোদ্ধা। পূর্বে আমাদের আহবায়ক কমিটি ছিলো ৫১ সদস্য বিশিষ্ট অথচ দেশে যখন আওয়ামী লীগের দমন পীড়ন অব্যাহত ছিল তখনই ৫১ সদস্যের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫/১৮ জন উপস্থিত থাকিতো সব সময়। আবার আহবায়ক কমিটির আগের কমিটিতে আমি বৃত্তি ও ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম আর আমাদের সেই কমিটিও করা হয়েছিলো ৩৯৬ সদস্য বিশিষ্ট অথচ এতবড় কমিটির মধ্যে প্রোগ্রামে হাজির পেতাম সর্বোচ্চ ২০/২৫ জনকে আর এর মধ্যে আমিও একজন। অথচ আহবায়ক কমিটি ভেঙে বর্তমানে তা পূর্নাঙ্গ কমিটি করার জন্য যে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে এই কমিটির বিরুদ্ধে অনেকেই বিদ্রুপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

 

সাবেক বৃত্তি ও ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বলেন, একাধিক মামলায় জর্জরিত ও বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছে এমন অনেকের নাম এই কমিটিতে না থাকায় আহবায়ক কমিটির অনেকেই হতাশ। এছাড়া বিভিন্ন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে এই কমিটির ব্যাপারে। আমি তাতে হস্তক্ষেপ করছিনা, শুধু আমার অবদান বা ত্যাগের কি মূল্যায়ন হলো সেটাই জানতে চাই কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে!

 

বহুবার নির্যাতনের শিকার ছাত্রদলের এই নেতা আরো বলেন, আমি গত ২০২৩ সালের মার্চে আওয়ামী লীগ শাসিত ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হই এবং দিবি আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আমার বাবা -মা বৃদ্ধ হওয়ায় তাদেরও অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে এবং আমার গ্রেফতার ও কারাভোগ আমার বাবাকে আরো দু:চিন্তায় ফেলে দেয়, কেননা তার ছেলে একজন গ্র‍্যাজুয়েট হয়ে আজ বিনা কারনে শুধু রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের কারনে জেল খাটছে এবং তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন আমার চিন্তায় এবং সেই অসুস্থতা থেকেই পরিশেষে মৃত্যুবরন করেন।

 

মোতালেব আক্ষেপের সুরে বলেন, আমার সরকারি চাকরির জন্য বয়সও নেই তেমন অথচ জাতীয়তাবাদের আদর্শকে মনে প্রানে লালন করে নিজের এবং পরিবারের যা ক্ষতি করেছি তা কোনোভাবেই পূরনীয় নয়। দলের কাছে একটাই অনুরোধ যারা নিজ অর্থ, শক্তি ও সামর্থ দিয়ে দলের জন্য কাজ করেছে তাদের মূল্যায়ন করা হউক। এটাই কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে আমার দাবি।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *