সিএনজি চালকদের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট


নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্যাস চালিত সিএনজি চালকরা মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া সড়ক অবরোধ করেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা।
আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। এতে মহাসড়কসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কসহ আশপাশের সড়কে ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীসহ যাত্রীসহ রোগীরা। প্রায় ২ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
পথচারী আসলাম বলেন, সিএনজি অটোরিকশা অবরোধের কারনে রাস্তায় অনেক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সাইনবোর্ড থেকে পায়ে হেঁটে রায়েরবাগ পর্যন্ত এসেছি। মতিঝিল অফিসে যাব। বাকী পথ যেতে বারোটা বেজে যাবে।
এদিকে রাজধানীর দোলাইপার চৌরাস্তায় সিএনজি অটো রিকশা চালকরা রাস্তা অবরোধ করে। ফলে ঢাকা-মাওয়া সড়কের ধোলাইপার থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। ফলে রাস্তায় ও ফ্লাইওভারে দক্ষিণ অঞ্চলের শত শত পরিবহন আটকা পড়ে। মানুষ দিশেহারা হয়ে পায়ে হেঁটেই ছুটছে গন্তব্যের দিকে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
ক্যান্সারের রোগী আকবর সরদার (৬৫)। আসেন বাগেরহাট থেকে। তিনি জুরাইন এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাথে থাকা আকবরের স্ত্রী জহুরা খাতুন জানান, আমার স্বামীকে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বাগেরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসে রওনা দেই। কিন্তু ঢাকার পোস্তগোলা এসেই বাস পড়ে যানজটে। ফলে উপায় না পেয়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। এখন কি করবো বুঝছি না।
আন্দোলনরত সিএনজি অটো রিকশা চালক সোহেল জানান, আমরা মিটারে চালাতে পারব না। কারণ মালিকদের অনেক বেশি জমা দিতে হয়। মিটারে চললে আমাদের পোষাবে না। তাই আমরা আন্দোলনের নেমেছি।
এদিকে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের (ট্রাফিক) উপ- পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজাদ রহমানকে মুঠো ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূক মিটার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১২ টা) এখনও ঢাকা-মাওয়া সড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।