সিরাজগঞ্জ শহর দরগারোডে ৬ তলা অনুমোদন নিয়ে ৮ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: 1:32 am, January 13, 2025 | আপডেট: 1:32 am,

সিরাজগঞ্জ শহর দরগারোডে ৬ তলা অনুমোদন নিয়ে ৮ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ

আবু সুফিয়ানঃ

সিরাজগঞ্জ এস,পি অফিস ও পুলিশ বাহিনীর দাপট দেখাইয়া এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ এস,পি অফিসের স্টেনোটাইপিস্ট খাদেমুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক হেদায়েত উল্লাহ ও সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম গংরা সিরাজগঞ্জ শহর দরগা রোডে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দিয়ে জায়গা ক্রয় করে আবার কোটি কোটি টাকা দিয়ে পৌর বিধি লংঘন করে ৬ তলা অনুমোদন নিয়ে অবৈধ ভাবে ৮ তলা ঝুঁকি পূর্ণ ভবন নির্মাণ করে। এই ভবন নির্মাণ অনুমোদনের জন্য ঢাকা ফায়ার সার্ভিসে অনেক টাকা ঘুষ দেয়ার স্বীকারোক্তি রহিয়াছে ভবন মালিকদের একজনের। নেক্কার জনক ভাবে পৌর বিধি লংঘন করে ভবন নির্মাণ ও ৬ তলা অনুমোদন নিয়ে ৮ তলা ভবন নির্মান, ঢাকা ফায়ার সার্ভিসে ভবন অনুমোদনের জন্য ঘুষ দেয়া, এস,পি অফিস ও পুলিশ বাহিনীর দাপট দেখিয়ে ঝুঁকি পূর্ণ অবৈধ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এরকম নকশা বহির্ভূত ঝুঁকি পূর্ণ অবৈধ ভবন নির্মাণ হলে ভবিষ্যতে আগুন ভূমিকম্প সহ নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে হতাহতের ঘটনা ঘটবে। উক্ত বিষয়ে স্হানীয় পত্র পত্রিকাতে বারবার প্রকাশিত হয়েছে ও পৌর কতৃপক্ষ বরাবর অনেক লিখত অভিযোগ করা হয়েছে। ১৪/১/২৪ ইং তারিখে উপ-পরিচালক স্হানীয় সরকার সিরাজগঞ্জ শাখা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ৪/২/২০২৪ তারিখে উপ-পরিচালক স্হানীয় সরকার সিরাজগঞ্জ শাখা হতে পৌর কতৃপক্ষকে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ করেন। এরপর সিরাজগঞ্জ পৌর কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে ৯/৭/২০২৪ইং তারিখে অবৈধ ভবন মালিকদের ৮ তলা ৭ দিনের মধ্যে ভবন মালিকদের নিজ খরচে অপসারণের নির্দেশ দেন। ও আরও বলা হয় ৭ দিনের মধ্যে ভবন অপসারণ না করলে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এই ভবন মালিক এস,পি অফিসের স্টেনোটাইপিস্ট খাদেমুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক হেদায়েত উল্লাহ ও সহকারি জজ জাহিদুল ইসলাম গং ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌর কতৃপক্ষের কথা কর্নপাত না করে ভবন অপসারণ করিতেছেননা। অথচ,ইমারত নির্মাণ আইনে বলা আছে, অনুমোদন গ্রহণ না করে ইমারত নির্মাণ করা ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২,৩, (১)ধারা ইমারত নির্মাণ বিধি মালা ১৯৯৬ এর ৩ উপ বিধির লংঘন। উক্ত আইন লংঘন করে নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলে ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ এর ১২ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির সাত বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ড ও ন্যূনতম ৫০০০০, টাকা অর্থদণ্ড হবে।এলাকাবাসীর দাবি পৌর কতৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে অবৈধ নকশা বহির্ভূত ভবনটি অপসারণ করবে ও ইমারত নির্মাণ আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণ করায় ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এলাকা বাসী আরও জানতে চায় এরা আইনের লোক হয়ে কিভাবে বেআইনি ভাবে পৌরবিধি লংঘন করে ভবন নির্মাণ করলো ও এই ভবন মালিকদের আয়ের উৎস কি? তাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *