৫৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি


রাসেল কবিরঃ
সময়ের বিবর্তনে দেশের অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন সংক্রন্ত পরিসংখ্যান প্রনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রতি ১০ বছর পর পর অর্থনৈতিক শুমারি করা হয়।২০২৪ সালের ১০-২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি।এর আগে ১৯৮৬ সালে প্রথম, ২০০১ ও ২০০৩ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৩ সালে ৩য় অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিরূপনের জন্য বিভিন্ন জরিপ ও শুমারি পরিচালনা করা হয়। এই সকল শুমারিসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক শুমারি উল্লেখযোগ্য।বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর হতে ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে শিল্প ও সেবা নির্ভর হয়ে উঠছে।ফলে অকৃষি খাতগুলো জাতীয় আয় ও কর্মসংস্থানে অধিকতর অবদান রাখছে।তাই দেশে অবস্থিত সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান; কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্বলিত ও সকল প্রতিষ্ঠানিক কৃষি খামার এবারের অর্থনৈতিক শুমারির আওতাভূক্ত। দেশের ৪ কোটি পরিবারের মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ অর্থনৈতিক পরিবার বা ইউনিট আছে। দেশের সব অর্থনৈতিক ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ভ্যান গাড়িতে সবজি বিক্রির তথ্যও বাদ যাবে না। এ ছাড়া দেশে গড়ে ওঠা অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এবার অর্থনৈতিক শুমারির হিসাবে আসবে।সারা দেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারির জন্য তথ্য সংগ্রহ করবেন।মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবলেট মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে আসার আগ পর্যন্ত সংগ্রহ করা সব তথ্য-উপাত্ত গোপন অবস্থায় থাকবে।সম্পর্ন বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ আর এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৯ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা। অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ নামে প্রকল্পটির কার্যক্রম ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শুরু হয় এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদকার নির্ধারন করা হয়েছে।