এবছর বাড়তে পারে হজ প্যাকেজের মূল্য, ঘোষণা ৩০ জানুয়ারির মধ্যে
এবছর বাড়তে পারে হজ প্যাকেজের মূল্য, ঘোষণা ৩০ জানুয়ারির মধ্যে
এবছর সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায়-১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। আগামী ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে চলতি বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এবার বাড়তে পারে হজ প্যাকেজের মূল্য।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব তথ্য জানান।
ফরিদুল হক বলেন, বিমানের (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স) সঙ্গে আমাদের মিটিং আছে, সেই মিটিং আমরা করব। সৌদি আরবে আমরা যে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে আসলাম তাদের সঙ্গে রেট নিয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। আমরা একটা রেট বলেছি, তারা একটা রেট বলেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের নেগোসিয়েশন চলছে, ওরা যেটা চেয়েছে সেটা যাতে না হয়। যদি ৫ শতাংশও রেট কমে সেটা বাংলাদেশের জন্য উপকার। সেই রেটগুলো আমরা হয়তো ২০-২২ জানুয়ারির মধ্যে পেয়ে যাব।
সৌদি আরব-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি ২০২৩ পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. মতিউল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাৎ হোসাইন তসলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি বিমানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গেলে আশা করছি ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আমরা হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে দেব ইনশাআল্লাহ।
হজ প্যাকেজের মূল্য গত বছরের মতো রাখার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে রিয়ালের মূল্য বাড়ায় খরচ কিছুটা বাড়তে পারে।
সৌদি আরব-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি-২০২৩ এর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন মন্ত্রী।
এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায়-১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০% ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০% হজযাত্রী পরিবহন করবে। এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেয়া হয়েছে অথ্যাৎ ৬৫ ঊর্ধ্ব হজযাত্রীগণ এ বছর হজে গমন করতে পারবেন।
গমনকারী সব হজযাত্রীর প্রি অ্যারাইভার ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে। কোভিড পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে হজযাত্রীর সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধির বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।
এ বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ৭০% অর্থাৎ ৮৯ হাজার ৩৮ জন হজযাত্রী জেদ্দা বিমান বন্দর হয়ে আগমন ও প্রস্থান করবেন এবং ৩০% অর্থাৎ ৩৮ হাজার ১৬০ জন হজযাত্রী মদীনা বিমানবন্দর হয়ে আগমন ও প্রস্থান করবেন।