পানিতে ডুবে পাঁচটি মহিষের মৃত্যু, গ্রামবাসীর অভিযোগ রাখালের অবহেলা
মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত: পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চর শিবা চর কপালবেড়া গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে ডুবে কচুরিপানা গ্রাসে কেড়ে নিলো ৫ টি মহিষের প্রাণ।
সূ্ত্রে জানা যায়, গত ৩ রা মে বুধবার আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটনায় ১১০ টি মহিষ কপাল ভেরা খালে পানি খেতে গেলে পাশে থাকা ফসলের জমিতে ২০-২৫ টি মহিষ প্রবেশ করে। ফসলি খেতে মালিক খাদিজা বেগম (৩৫) মহিষ গুলো তারিয়ে দিতে মালেক মাতুব্বরকে হুকুম দেন।
মালেক মাতুব্বর কপাল ভেরা গ্রামের হানিফ মাতুব্বরের ছেলে। সে মহিষ গুলো তাড়িয়ে দিলে সেগুলো কচুরিপানার খালে নেমে পড়ে।
ঘটনার ১৫-২০ মিনিট পর রাখাল এসে মহিষের খোঁজ করে ৫ টি মহিষ মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তবে এলাকাবাসীর ধারণা এই মহিষ গুলো আরো “দু এক দিন আগেই মারা গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অসহায় খাদিজা বেগম ও মালেক মাতববরের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রাখালের দোষ এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, ১১০ টি মহিষের রাখাল মাত্র দুইজন। তারা সব সময় মহিষ দিয়ে আমাদের ফসলের ক্ষেতের অনেক ক্ষতি করেন।
রাখাল ও মহিষের মালিক রহিম বলেন,পানি ও কচুরিপানার দুদিক থেকে চাপ থাকার কারণে মহিষ গুলোর মৃত্যু হয়েছে । তবে ঘটনার দিন যে মহিষ মারা গেছে তা বলতে পারিনা। আমি এই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না।
এ বিষয়ে চর কাজল ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য লিমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মহিষ মরাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে ফাসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মহিষ মালিক পক্ষরা। তবে এলাকাবাসীর ধারণা এইঘটনার দিনে হয়তো এই মহিষ মারা যায়নি। এর দুই একদিন আগে মারা গিয়েছে বলে তাদের ধারণা। এই মহিষ মারা যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে রাখালের উদাসীনতা ও পানির স্রোত এবং কচুরিপানার চাপের কারণে হয়তো মহিষগুলো মারা গিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যদি কেউ দোষী থাকে তাদের আইনের আওতায় এনে মুখোশ উম্মোচন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোনিত কুমার গায়েন বলেন, এখনও কোন অভিযোগ পাইনি তবে মহিষের মালিক অভিযোগ দিলে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।