ভূয়া চিকিৎসক অনিল চন্দ্র মৃধা, নামের আগে লিখেন ডাক্তার

প্রকাশিত: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩ | আপডেট: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ,

মোঃ হা-মীম: আরএমপি (রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার) কোর্স করেই এমবিবিএস চিকিৎসকের মতোই করছেন ডাঃ অনিল চন্দ্র মৃধা জটিল সব রোগের চিকিৎসা। ডিজিটাল ব্যানার ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের নামে ভিজিটিং কার্ড ও প্যাড ছাপিয়ে আইন অমান্য করছেন।

 

নামের আগে পদবি লিখছেন ‘ডাক্তার’। তাদের ভুল চিকিৎসা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের প্রেসক্রিপশনের কারণে হরহামেশাই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।

 

ডাক্তার রূপধারী এই পল্লী চিকিৎসকদের ওপর প্রশাসনের নজর বা নিয়ন্ত্রণ কোনোটাই নেই। একারণে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা শহর ও গ্রামের অসংখ্য মানুষ।

 

জানা যায়, রাজধানীর পশ্চিম যাএাবাড়ী মীরহাজীর বাগ কাচা বাজারের আশ পাশে আরএমপি, ডিএমএফ ও এলএমএএফ কোর্স করে নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখে রোগী দেখলেও এই পল্লী চিকিৎসকদের রোগী দেখার আইনগত অনুমোদন বা যোগ্যতা কোনোটাই নেই।

 

সাধারণ রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান এবং জটিল-স্পর্শকাতর রোগীদের বিশেষায়িত সরকারি  হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে প্রেরণের নিয়ম। অথচ তারা করছেন ঠিক এর উল্টো। চিকিৎসার নামে সাধারণ-জটিল সকল রোগের অপচিকিৎসা দিয়ে চলেছেন তারা। অসহায় রোগীদের তারা ব্যবহার করছেন ‘গিনিপিগের’ মতো।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রাজধানীর যাএাবাড়ী ডাঃঅনিল চন্দ্র মৃধা রূপধারী পল্লী চিকিৎসকদের দৌরাত্ম্য দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।ঢাকার শহর এলাকায় এদের দৌরাত্ম্য তুলনামূলকভাবে বেশি।

 

চটকদার সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে নিজেদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ উপাধি আর ‘ডিপ্লোমা, প্যারামেডিক, এলএমএএফ, ডিএইসএস, শিশু বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার’—এর মতো নামে ভারী শব্দ লাগিয়ে দেদারছে অপ-‘চিকিৎসা-বাণিজ্য’ চালাচ্ছেন এরা।

 

চেম্বার খুলে সাইনবোর্ডে নামের সঙ্গে ‘ডাক্তার’ উপাধি ও ডিগ্রির বহর যোগ করে এভাবেই প্রতারণা করে যাচ্ছেন।

 

গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসক সংকট থাকায় এবং মানুষের সচেতনতার অভাবকে পুঁজি করে বছরের পর রোগী দেখে যাচ্ছেন অনিল চন্দ্র মৃধা রোগমুক্তি তো দূরের কথা, এসব ভুয়া চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে নানান জটিলতায় ভুগছেন হাজারো রোগী।

 

এছাড়া মাঝেমধ্যেই তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে রোগী মারা যাওয়া মতো ঘটনাও ঘটছে। আবার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে রোগকে আরো জটিল থেকে জটিলতর পর্যায়ে নিয়ে নিরাময়-অসম্ভব করে ফেলছেন।

 

নিজের চেম্বার খোলার পাশাপাশি অনিল চন্দ্র মৃধা পল্লী চিকিৎসক এবং ওষুধও বিক্রি করছেন। নিজেই ডাক্তার, নিজেই আবার ওষুধবিক্রেতা। একারণে রোগীদের মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের প্রেসক্রাইবও করছেন দেদারসে। নিজেদের আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে গ্রামের অশিক্ষিত-অল্প শিক্ষিত তথা গরিব মানুষদের আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত করে ফেলছেন এরা।

 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, পল্লী চিকিৎসকের কাছে ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় তারা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দিচ্ছেন।

 

সামান্য অসুখেও তারা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে রোগীরা আক্রান্ত হচ্ছেন জটিল রোগে। ফলে রোগ নিরাময়ে সময় বেশি লাগছে।

 

অনেক রোগী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছেন। এতে পরবর্তী সময়ে একদিকে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছেন না, অন্যদিকে রোগীর খরচও বাড়ছে। এসব রোগীর রোগ নির্ণয়েও অনেক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর যাএাবাড়ী পশ্চিম মীরহাজীরবাগ এর আশপাশে লাইসেন্স বিহীন  ডাক্তার নামধারী চেম্বার খুলে জাঁকিয়ে বসেছেন।

 

অনিল চন্দ্র মৃধার বিষয় মীরহাজীর বাগ ব্যবসায়িকরা বলেন অনিল চন্দ্র মৃধা একজন হিন্দু তিনি দোকানের সাইনবোর্ডে লিখে রেখেছেন আল আমীন মেডিকেল হল।

 

অনিল চন্দ্র মৃধার চেম্বারে রুগী দেখার মতো পরিবেশ নেই নেই কোনো জায়গা দোকানের পিছনে শুধু একটি বেড তার চারপাশে কটুনে ভর্তি নোংরা পরিবেশ।

 

অনিল চন্দ্র মৃধা তিনি তার মতো রুগীকে ঔষধ দিয়ে থাকেন যে ঔষধ কোম্পানির সাথে অনিল চন্দ্র মৃধা ব্যাবসা করে থাকেন ওই কোম্পানির বাহিরে কোন প্রকার ঔষধ দেননা বলে জানা যায়।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *