মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার জাটকা বিক্রি ও চাঁদাবাজদের রাজত্ব চলছে
মোঃ বাদল: মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানাধীন মাওয়াঘাট থেকে বালিগাঁও এবং চাঁদপুর যাতায়াতের পদ্মার নৌ-পথে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও সরকারের নিষিদ্ধ করা জাটকা ইলিশ ধরা বিক্রি চলছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আমাদের প্রতিবেদকের তথ্য অনুন্ধানে জানা যায়, লৌহজং থানাধীন ডহড়ী শামুর বাড়ি পদ্মা নদীর মোর থেকে তালতলা যাওয়ার খাল দিয়ে চলাচল করে থাকে বালু বহনকারী ড্রেজার ও বাল্পহেড জাহাজ ওরফে বোল গেট নামের ভাড়ী নৌ-যান।
যার ফলে নদী ভাঙ্গন আতংঙ্কে থাকে পাড়ের বাশিন্দারা। নদী ভাঙ্গন রোধ ও রুপোলী ইলিশ রক্ষায় সরকারের নির্দেশে কর্তিপক্ষ বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিচালনা করা সত্ত্বেও কিছুই বন্ধ হয়নি এসকল কর্মকান্ড। আবার অন্য দিকে লৌহজং থানাধীন ঘোড়া দৌড়, বড় মোকাম, ডহড়ী, শামুর বাড়ি খালের মোর থেকে তালতলা যাওয়ার নৌ-পথ বালি গাঁও গাংচিল বাস ষ্টান এলাকার খাল দিয়ে চলাচলকারী ড্রেজার ও বাল্পহেট জাহাজ ওরফে বোল গেট থেকে চাঁদাবাজি এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ পদ্না নদীর রুপালী ইলিশ মাছ ধ্বংস করতে জাটকা ইলিশ ধরে বিক্রি করছে।
যার রক্ষার্থে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। যার প্রতিরোধ করতে লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল তার দায়িত্বরত এলাকার নৌপথ খাল দিয়ে চলাচল করা ড্রেজার ও বাল্কহেড জাহাজ ওরফে বোল গেট চলাচল বন্ধ করতে গাউদিয়া ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ তবারক, গাউদিয়া ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও গাউদিয়া ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃটিটু সিকদার সহ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে কিছু দিন অভিযান পরিচালনা করে প্রায় বেশ কিছু ড্রেজার ও বাল্বহেড জাহাজ ওরফে বোল গেট আটক করে এবং চালদের অনিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের রাষ্ট্রিয় সংবিধানের ধারায় জরিমানা ও শাস্তি দিয়ে থাকে। এবং ২জন চাঁদাবাজকে আটক করে সাজা দেওয়া হয়। যার ফলে সে সময় চাঁদাবাজরা তাদের চাঁদাবাজি বন্ধ করে ছিল। যা কালের পরিবর্তনের মতো চাঁদাবাজরা অদৃশ্য ক্ষমতার রাজত্ব নিয়ে বর্তমানে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি ও ডাকাতি এবং সরকার নিষিদ্ধ করা জাটকা ইলিশ ধরাবিক্রি করে চলছে।
বিশেষ সূত্রে জানাযায় চাঁদাবাজরা জন প্রতিনিধী, দলীয় নেতা-কর্মী ও আইন রক্ষাকারী সদস্য এবং সংবাদ কর্মিকে ডেজার ও বাল্পহেড ওরফে বোলগেট প্রতিটির থেকে আদায়কৃত চাঁদার অংশ ভাগ দিয়ে লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার দ্রুত গতিতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। যার চাঁদাবাজদের নাম আদায়ের স্থান ঘোড়া দৌড় এলাকার নদীতে হামেদ মাদবরের ছেলে শাহাবুদ্দিন মাদবর ও তার ছেলের নেতৃত্বে আরো ৮/১০ জন চাঁদাবাজ একত্রে চাঁদাবাজি করছে, ভরাকল এলাকার নদীতে রাজু ঢালী তার ছেলে সিরাজ ঢালী একটি সংগঠনের নাম ভাংঙ্গীয়ে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি করছে, সুরুজ খাঁ, কলমা এলাকার নদীতে কামাল মল্লিক ও আলমগীর মল্লিক, বড় মোকাম কলেষ্টর গলি নদীর খালে মৃত মোঃ প্রিন্সের চাকলাদারের স্ত্রী ফরিদা বেগমের ও তার ছেলে ,ওসমান ওস্তাগার, মজিবর ওস্তাগার, মোঃ লেকু নেতৃত্বে চাঁদাবাজী করছে, ডহরী শামুর বাড়ি খালের মোড় এলাকায় রিপন, বালিগাঁও গাংচিল বাস ষ্ট্যান্ড মাঠের নদীতে সুমন @ তেলকালু, শহর আলী ও তার ভাই, ছিডাচর এলাকার নদীতে বাদশা মাঝির ছেলে রাসেল মাঝি ও তার ডান হাত সুলতান মল্লিকের ছেলে বাবুল মল্লিক এর নেতৃত্বে চাঁদাবাজী করছে টিটু মল্লিক, জসিম মল্লিক,রাজিব মল্লিক, জাহিদ মল্লিক, হানিফ মাদবর, সোহাগ বেপারী, শাকিল মল্লিক, জেনারুল মল্লিক, রফিক খাঁ ও মোকলেছ খাঁর ছেলে রাসেল খাঁ সহ আরো অনেকে এবং শামুর বাড়ি বড় মোকাম এলাকায় নদীর জাটকা ইলিশ ধরে বিক্রি করছে খোরশেদ ওস্তাগারের ছেলে লোকমান, তাছের সরদার, রিপন ঢালী,আবুল ঢালী,তোতা মাল ও আল-ইসলাম ঢালী সহ আরো অনেকে।
নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ বিক্রিকালে আমাদের প্রতিবেদক মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ও লৌহজং থানার ওসিকে এবং লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাদের ওয়াটএ্যপে ছবি সহ মেসেজ লিখে তাদের পক্ষ থেকে কোন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নদীর পাড়ে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের।