লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়লে ডোবে নিম্নাঞ্চল, কমলে দেখা দেয় ভাঙন
হীমেল কুমার মিত্র: লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়লে বন্যায় ডোবে নদীপাড় ও নিম্নাঞ্চল। অন্যদিকে, পানি কমলে দেখা দেয় ভাঙন। বর্ষায় ভোগান্তি আরও চরমে নদী পাড়ের মানুষের।
তিস্তার পানির এই দ্বৈরথের খেলা চলে উত্তরের জনপদ লালমনিরহাটে। যা শিক্ষা-দীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে পড়ে ভাটা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে অথৈ পানি, বিকালেই জেগে উঠে বালুচর। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যায় রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি। বাধ্য হয়ে উঁচু স্থানে মাথা গোঁজার ঠাই খোঁজেন বন্যার্ত মানুষ। কোনোভাবে রান্না-বান্না চললেও অভাব দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানির। এদিকে, গবাদি পশুর আশ্রয় দেয়া নিয়েও হয় হিমশিম অবস্থা।
স্কুল কলেজে পানি ওঠায় পড়ালেখায় পড়ে ভাটা। শ্রেণি কার্যক্রম না চলায় বছর শেষে পরীক্ষার ফলাফলে ঘটে বিপর্যয়।
অন্যদিকে, পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় সংসারের অভাব থেকেই যায়। পানি কমার সঙ্গে আরেক দুর্ভোগের নাম ভাঙন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, সম্প্রতি তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটের ৪টি উপজেলার ১৫ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে এসব বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।