লালমাইতে মিথ্যা সহযোগিতা চেয়ে থানায় ডেকে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩ | আপডেট: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ,

মোঃ শহিদুল ইসলাম জনি: “আমি একজন অসহায় লোক, কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছি, এখানে এসে বিপদে পড়ে গেছি” এমন মিথ্যা কথা বলে লালমাই থানার পুলিশের ৩ সদস্য অপু নামে এক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে থানায় ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত ও অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং হুমকি দমকি, ভয়ভীতির দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এই ঘটনায় আনন্দ টিভি’র লাকসাম প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এম এ কাদের অপু রাতেই কুমিল্লা পুলিশ সুপার, আইজি কমপ্লেইন সেল, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, অর্থ মন্ত্রনালয়ে অনলাইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।

 

গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) লালমাই থানার মাসুক নামে এক পুলিশ কনষ্টেবল তার ব্যবহারিত ০১৬৮৩-১১৪৯৫০ এই নাম্বারে একটা বিপদের কথা বলে সাংবাদিককে ডেকে এসআই সাধন ও এসআই সাখাওয়াত মিলে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে থানায় ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করে।

 

লাঞ্ছিত সাংবাদিক এম এ কাদের অপু জানান, গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর থেকে অন্তত ২২ বার তার মোবাইল ফোনে কল করে কনস্টেবল মাসুক। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ পরিচয় দেন, সে একটা বিপদে পড়ে আছে। তার এই লালমাই তথা কুমিল্লায় কেউ পরিচিত নেই। তার একটু সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষণিক আসতে না পারায় রাত ৮ ঘটিকার সময় আমার এক সহকর্মীকে নিয়ে লালমাই থানায় গেলে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে বসিয়ে অকথ্য ভাষা কথা বলা শুরু করে এসআই সাধন, পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন এসআই সাখাওয়াত এই বলে ধমক ও বিভিন্ন আজেবাজে কথাও বলে আমাকে। তাদের অভিযোগ আমি নাকি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়েছি, যদি এই কথা সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে এই ভাবে মিথ্যা অভিযোগে থানায় ডেকে এনে লাঞ্ছিত করার অধিকার তাদের কে দিলো?

 

অবস্থার অবনতি দেখে আমি তাৎক্ষণিক কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানকে কল দিয়ে অবগত করলে তিনি লালমাই থানার ওসি আবদুল হাকিমকে বললে আবদুল হাকিম আমাকে লোক মারফতে ডেকে একটা মিমাংসা করে দেন।

 

মূলত বিষয় হলো থানায় একটা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাদী বিবাদী নিয়ে একটা বৈঠক হলে ওই বৈঠকে এসআই সাখাওয়াতকে কোন টাকা দেওয়া হলোনা কেনো এই জন্য মিথ্যা অভিনয় করে একজন সাংবাদিককে থানায় ডেকে এই লাঞ্ছিত করেন, পরে আমি রাতেই সরকারের বিভিন্ন জায়গায় ই-মেইলে লিখিত অভিযোগ করি।

 

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল হাকিম জানান, এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি তাই এখানেই এই বিষয়টি শেষ করে দেন।

 

পুলিশ তার দায়িত্বে থেকে এমন একটা মিথ্যা কথা বলে একজন সচেতন নাগরিকের সাথে এমন প্রতারণা করলে সাধারণ মানুষের কি দশা হবে? থানায় বৈঠক করলে টাকা দিতে হবে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এটা কোন আইনে আছে বলে জানান, সাংবাদিক অপু?

 

সাংবাদিক দেশের ৪র্থ স্তম্ভ, তাদের সাথে এমন প্রতারণা করলে এই ৩ পুলিশ কর্মকর্তা দেশের সাধারণ জনগণের সাথে কেমন আচরণ করে তা খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি, বিষয়টি বিবেচনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য “জাতীয় সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন” এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *