বন্যার পানি কমলেও যাযাবর জীবন কাটছে তিস্তা পাড়ের মানুষের
হীমেল কুমার মিত্র, স্টাফ রিপোর্টার: রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ জেলার অন্যান্য নদ-নদীগুলোতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর কড়াল গ্রাসে বার বার বসতঘর সরিয়ে যাযাবর জীবন কাটছে তিস্তা পাড়ের মানুষের। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও তিস্তার নির্দয় ভাঙন খেলা থামেনি।
শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে মৃত প্রায় তিস্তা বর্ষায় আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তখন তিস্তা পাড়ের মানুষ ঘরবাড়ি, ফসল আর জমি হারানোর শঙ্কায় দিন কাটান। এ বছর নবমবারের মতো পানিবন্দি নদী পাড়ের অসহায় মানুষ।
আজ (২৯ আগস্ট) মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টের বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়ায় ব্যারেজ পয়েন্টের ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও বিঘার পর বিঘা জমি ও বসতভিটা খেয়ে এগোচ্ছে তিস্তা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব জানান, তিস্তার ২৫০ কিলোমিটার দুই তীরে ১১১ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির কাজ প্রক্রিয়াধীন।