গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করলে আমরা রুখে দিতে পারি : ছাত্রলীগে সভাপতি সাদ্দাম হোসেন
হীমেল কুমার মিত্র: আজ (২ জুলাই) রবিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার পূর্বে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, দেশের ছাত্রসমাজ মনে করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা, সরকার পরিচালনা করবে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজের বৃহত্তর ঐক্যমতে রয়েছে, সেই জায়গা থেকে আগামী দিনে যারাই সন্ত্রাসবাদিতা করার চেষ্টা করবে, মৌলবাদী রাজনীতির আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করবে এবং বাইরের পৃষ্ঠপোশকতায় আমাদের গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করলে আমরা যেন তাদের রুখে দিতে পারি, এজন্যই আমরা এই প্রতিনিধি সভাগুলো করছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার হওয়ার কথাকে দেশ বিরোধীরা চ্যালেঞ্জ করেছে। এর মাধ্যমে তারা জনগণের সাথে তামাশা ও তাদের আত্মমর্যাদাকে অপমান করেছে। দেশ বিরোধীরা জনগণের সার্বভৌমত্বের বিশ্বাস না করে, বিদেশী সার্বভৌমত্ব আমাদের ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইলের দেশে প্রয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের এই পলি মাটি ৩০ লাখ শহীদের রক্ত রঞ্জিত। তারা দেশের গণতন্ত্রের উপর হায়নার ছোবল দিতে চায়। যুগে যুগে দেশের ছাত্র সমাজ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তারা বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনের আগে যেটুকু সময় আছে আমরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নিয়োজিত থাকবো।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রলীগকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে হবে, শৃঙ্খলা স্থাপন করতে হবে ও গ্রুপিং বন্ধ করতে হবে। সংগঠনে কোন ভাই-বোনের রাজনীতি চলবে না, শেখ হাসিনার রাজনীতি কায়েম করতে হবে। তিনি আমাদের একমাত্র অভিভাবক। তার লড়াই-সংগ্রাম বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব। এটি মুখে বলে নয়, অন্তর দিয়ে কাজ করে বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, মহানগর, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।
ছাত্রলীগকে সক্রিয় রাখার পবিত্র দায়িত্ব আমরা সঠিক ভাবে পালন করবো। ছাত্রলীগের তৃণমূলকে সুসংগঠিত, সংসহত, ঐক্যবদ্ধ করতে রোডম্যাপ নির্ধারণ করেছি, বিদ্যমান যে সব সংকট রয়েছে সেগুলো নিরসন করার উদ্যোগ নিয়েছি। সাংগঠনিক গতিশীলতা, সাংগঠনিক কর্মচাঞ্চল্য ও সাংগঠনিক জবাবদিহীতা ছাড়া সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো ভালোভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। যে কারণে আমরা সংগঠনকে গুছিয়ে নিতে দেশব্যাপী যে কর্মসূচী নিয়েছি, তারই ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা।
দেশের শহর, নগর ও মফস্বলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ছাত্রসমাজের মধ্যে একটা ঐক্য তৈরী হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের হৃদয়ে দোলা দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের জীবন, ভবিষৎ, স্বপ্ন পূরণে,ক্যারিয়ার গঠনে এবং পরিবারের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে সম্পৃক্ত একটা বিষয়। সেই কারণে আমরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ছাত্রসমাজের এই রায়টির বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্যই বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা করছি।
রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দগণ। উক্ত প্রতিনিধি সভায় রংপুর বিভাগের প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, মহানগরের ইউনিট, বিভিন্ন কলেজ ইউনিটের ছাত্রলীগের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
এসময় বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন।