জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে- ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ

প্রকাশিত: ৮:১২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২৩ | আপডেট: ৮:১২ পূর্বাহ্ণ,

মোঃ মনির হোসেন: গনমুক্তি জোট বরাবরই নির্বাচনমূখী। জনসভায় জাতির উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশে সরকার পরিবর্তন হোক। আমাদের জোটের বেশিরভাগ প্রার্থী যুবক যারা দেশের পরিবর্তন চায়, তাদের চোখে আগামী ২০০ বছর পরে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে কি করবে সেই চিন্তা মাথায় রেখে দুর্নীতি মুক্ত একটি সফল বাংলাদেশ গড়তে চায়।

 

গত ২৫ নভেম্বর শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

 

তিনি আরো বলেন, আমরা মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন চাই, মানুষের মধ্যে মানতবতাবোধ জাগ্রত করতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সেক্টরে দুর্নীতি অনিয়ম এবং সিস্টেম লস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা চাই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করে কর্মভিত্তিক শিক্ষা চালু করে, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিক্ষিত ছেলে বাংলাদেশের জন্য বোঝা না হয়ে, এদেশের একেশটি মানব সম্পদে রূপান্তরিত হবে। তিনি বলেন, জাতীয় জনতার জোট এবং জাতীয় গণমুক্তি জোট এবারের নির্বাচনে একত্রিত হয়ে ছড়ি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। এজন্য জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

 

গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, সরকারি চাকুরিতে যত কোটা আছে, সেখানে এক লক্ষ লোকের ও কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়, ফলে তাই বেসরকারি খাতে কর্মীবান্ধব বাস্তব সম্মত নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধান করতে চাই। দেশে শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, বেকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষসহ সকল নাগরিকের জন্য মানবিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। দুর্নীতি মুক্ত একটি সফল রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমরা তৃতীয় শক্তি গড়তে চাইনা, বাংলাদেশের বিকল্পশক্তি হতে চাই। আমাদের ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রস্তুত আগামীর ভোটের মাঠে আমরা লড়াই করে দেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার বাস্তবায়ন করতে চাই বলে জানান গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ।

 

এ সময়, জাতীয় জনতার জোটের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলবো, মানুষের সমস্যা এবং এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় এর উপায় নিয়ে কথা বলবো। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা এই সংস্কৃতি থেকে এদেশের মানুষকে বের করে আনবো আমরা। তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় রেফারাল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে চাই। স্বাস্থ্যসেবার তৃণমূল পর্যায়ের জনতা সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা পাবে। আমরা কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৭০% নাগরিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে চাই।

 

উক্ত জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রধান আবু লায়েস মুন্না, সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ, মমতাজ উদ্দিন মজুমদার, বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল কবির, সাধারণ সম্পাদক সাহেল আহমেদ সোহেল, মানবতা পার্টির , জাগ্রত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আজমল জিহাদ, বাংলাদেশ জনতা ঐক্য এর চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানসহ জাতীয় জনতার জোট এবং গণমুক্তি জোটের নেতারা বক্তব্য রাখেন।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *