কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীভুত-কেন্দ্রীকরণ করার কথা বলেন মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক
১৬ই আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে শাহবাগ চত্তরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ ও সম্মিলিত বাংলাদেশ নাগরিক সংস্থার আয়োজনে গাজী মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে, ‘আইইটির ভিসির সকল দূর্নীতির তদন্ত ও অপসরন এবং বাংলাদেশে বৈষম্যহীন শিক্ষা সংস্কারের দাবী’তে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার প্রতি সমর্থন জানিয়ে মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক-মোঃ শাহজামাল আমিরুল বলেন কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার কারণে কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতিবাজ ও বৈষম্যর উৎপত্তি হয়। তাই আমরা দলীয়ভাবে ৫ই আগস্টের গণঅভ্যূত্থানের পর ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ থেকেই এই সরকারের কাছে দাবী করে আসছি ক্ষমতার ভারসাম্যর জন্য সংবিধানের ৬০ ধারা অনুযায়ী ‘বিকেন্দ্রীভূত-কেন্দ্রীকরণ’ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার।
তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অর্থাৎ গণপ্রজাতন্ত্র অর্থই হল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা তাই আমরা দলীয় ভাবে বার বার বলছি ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটের ভোটের মাধ্যেদিয়ে ভিসি নির্বাচন করতে অথচ সরকার বিগত সরকার গুলোর মতই আইন বহির্ভুতভাবে সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভিসি নিয়োগ দিচ্ছেন। অর্থাৎ তার বিশ্ববিদ্যালয় বা তার স্টাফ ও ছাত্রদের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকে না। তাই সে কর্তৃত্ববাদী ও দুর্ণীতিবাজ হয়ে ওঠে।
সরকারের প্রতি ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবারের পূনর্বাসন ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান করে মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিগত সরকারগুলোও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্যর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে জনগণের রোষানলে পড়েছিল। তাই তিনি সরকারকে সাবধান করে দিয়ে নিত্য পণ্যর দাম নিয়ন্ত্র করতে বলেন।
এছাড়াও তিনি সরকারকে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেন তিনি।