এসআই রেজাউলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারের ৫ দপ্তরে অভিযোগ দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,আইজিপি, পুলিশ কমিশনার সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
অভিযোগে জানাযায়, এসআই রেজাউল একটি সাদা প্রাইভেট কারে যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো- গ ১৩-৩৮৯১ এই গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে নিয়মিত মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন।
এসআই রেজাউল সদরে ডিবিতে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিভিন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিভিন্ন সময়ে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয় তিনি যেন এসব কাজে পূণরায় লিপ্ত না থাকেন পরবর্তীতে তাকে ডিবে থেকে সদর থানায় পোস্টিং করানো হয়, কিছুদিন থেমে থাকার পর আবারও জড়িয়ে যায় অপকর্মে।
বর্তমানে তিনি তার বন্ধু বোদল ইউনিয়নের সোহেল সোর্স ( সোহেলকে) দিয়ে একের পর এক অপকর্মে জড়ায়। অভিযোগ রয়েছে এস আই রেজাউল ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন হয়রানি মূলক মামলা ফাঁসিয়ে দেয়ার কথা বলে সোর্স সোহেলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। ভয়ে এলাকা বাসী মুখ খুলেননা।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এ,আই,জি,ক্রাইম সিকিউরিটি সেল,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, পুলিশ সুপার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় রেজাউল করিম বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে মাদক বাণিজ্য, আবাসিক হোটেল থেকে পতিতাদের ব্যবসার টাকা উত্তোলন, মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ কে হয়রানি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়া,কেউ মুখ খুললে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দেয় এস আই রেজাউল।
অনুসন্ধানে জানাযায়, ঢাকা মেট্রো ঘর ১৩-৩৮৯১ গাড়িটি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার সওদাগর পাড়া মসজিদ রোডের ২৭৯ নং বাড়ির কাজী কফিলুদ্দিনের ছেলে কাজী হাফিজুল ইসলামের।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা এরকম প্রকাশ্যে জনসমমুখ্যে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচলে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
এস আই রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবিতে থাকাকালীন অবস্থায় নাটাই ইউনিয়নের আমতলী এলাকার একটি বাড়িতে একটি মহিলাকে মারধর করে ও অস্ত্র উচিয়ে ভয় প্রদর্শন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। যা পরে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে নিরস্র করে পানিশমেন্ট প্রদান করা হয়।
এসব ব্যাপার জানতে চেয়ে এস আই রেজাউল করিমকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরণ করেন।