ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক: নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মাস্টার মাইন্ড, বিগত সরকারের দালাল রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র।
গত ১লা নভেম্বর শুক্রবার সকালে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে এক র্যালি বের করেন, উক্ত র্যালিতে সজীব রুদ্রের পাশে বিগত সরকারের দালাল হিসেবে পরিচিত ভোটার বিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকারকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়। এতেই প্রমাণিত হয় তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের সাথে তার গভীর সখ্যতা ছিল। তখন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা তার বাড়িতে ও অফিসে যাতায়াত করতেন।
জানা যায়
” দক্ষ যুব গড়বে দেশ,
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ “
এই প্রতিপাদ্যকে কে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে।
১লা নভেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালি বের হয়। র্যালিটি উত্তর দক্ষিণ দিক প্রদিক্ষণ করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনও সজীব কান্তি রুদ্রের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বেকার যুবক- যুবতীদের মাঝে ৩ লক্ষ টাকার ঋনের চেক বিতরণ করা হয়। ইউএনও র বাম হাত হিসাবে পরিচিত বিগত সরকারের ভোট বিহীন নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকার দেখা যায়।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সবিনয় চাকমার সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী থানার এসআই মাহামুদ সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ এবং প্রশিক্ষিত যুবক যুবতীরা।
আলোচনার পূর্বে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের দাঁড়িয়ে শপথ পাঠ করানো হয়।
বিষয়টি সুশীল সমাজ ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং দালাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্রের বিচার দাবি করেন।
ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী দোসরদের কে নিয়ে উনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকার সাধারণ জনগণ দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।