চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৩ | আপডেট: ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ,

হীমেল কুমার মিত্র

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুড়িগ্রামে ব্যবস্থাপত্র পরিবর্তন করতে যাওয়ায় দরজা বন্ধ করে এক রোগীর মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

(৩০ মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকেলে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার মণ্ডলপাড়া এলাকার মৃত শামছ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলম (৬০) ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ মার্চ চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মেডিকেল অফিসার ডা.মাহমুদুল হাসানের কাছে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে বসে থাকা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে রোগীকে মারধর করতে থাকলে রোগীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।

আহত রোগী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থেকে ডায়রিয়া আরোগ্য না হওয়ায় চিকিৎসা পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে ডা. মাহমুদুল হাসানের রুমে যাই। সেখানে প্রবেশ করা মাত্র ১টি ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মরত প্রতিনিধি আরিফ আমার হাত থেকে কাগজটি কেড়ে নেয়। তিনি কেন কাগজ কেড়ে নিলেন এমন কথা জানতে চাইলে ডা.হাসান ও আরিফ রুমের দরজা বন্ধ করে কিলঘুষি মারে এবং দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

মেডিকেল অফিসার ডা.মাহমুদুল হাসান জানান, রোগী আমার রুমে এলে কোনো একটি বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে তার বাগ্‌বিতণ্ডা বাধে। এ সময় বাহির থেকে রোগীর অভিভাবক ক্ষিপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম জানান, আমি জরুরি মিটিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন জানান, ‘হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে বসে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ মোর্শেদ জানান, ডাক্তার ও রোগীর মাঝে একটা ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া আমরা ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। যদি আমাদের চিকিৎসকের অপরাধ থেকে থাকে তাহলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *