ঘুর্নিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় পটুয়াখালী তে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩ | আপডেট: ৩:০৮ অপরাহ্ণ,

মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত: আগামী ১৩’মে ঘূর্নিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ও মিয়ানমারে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে সমুদ্র বন্দরে ২ নাম্বার সতর্ক সংকেত জানিয়েছেন আবহাওয়া বার্তা।

১১” মে বিকেলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘুর্নিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে , ঘূর্ণিঝড় “মোকা” মোকাবেলায় পটুয়াখালী সদর উপজেলায়-১০২ টি, মির্জাগন্জ-৪৩ টি, দুমকি-২৭ টি, বাউফল- ১৪০ টি, দশমিনা-৬৩ টি,গলাচিপা-১২৮ টি, কলাপাড়া-১৫৬ টি ও রাঙ্গাবালী-৫৪ টি সর্বমোট -৭০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও – কলাপড়া-১৯, দশমিনা-৪, রাঙ্গাবালী-৩ টি মোট -৪০ টি মুজিব কেল্লা ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তাৎক্ষনিক দূর্গত মানুষের খাদ্য সহায়তায় ৪০০ মেট্রিকটন জিয়ার চাল, ২ লাখ খাবার স্যালাইন, ৪ লাখ পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ও ৮ লাখ ২২ হাজার টাকা মজুদ আছে এবং ৮ হাজার ৫৭০ জন সিপিপি সদস্য ও ৭৬ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা সদরে ১ টি ও প্রতিটি উপজেলায় ১ টি করে কন্ট্রোলরূম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোলরূমের নম্বর- ০১৭০০৭১৬৭২৪ ।

ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত, আশ্রয় কেন্দ্র সাস্থ্য ও চিকিৎসা, কৃষি, মৎস্য, পানি সম্পদ, সড়ক মহাসড়ক, নেটওয়ার্ক, ত্রান, মানবিক সহায়তা, আইনশৃঙ্খলা, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ,পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেরীবাঁধ নির্মান, গণপূর্ত, জনসাস্থ্য, বন বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-নিরাপত্তা বাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, আনছার বাহিনী, সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট সহ অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, ঘূর্ণিঝড় বিষয় সংবাদ পরিবেশনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন। এসময় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকলের প্রতি সেচ্ছাসেবী জনবল বাড়াতে এগিয়ে আসার জন্য বলা হয়।

তিনি আরও জানান, দুর্যোগ চলাকালীন সাইক্লোন সেন্টার গুলোতে তদারকির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে , যাহাতে আশ্রয় কেন্দ্রের চাবি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরির হেফাজতে থাকে, আশ্রয় কেন্দ্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকজনের খাবার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, ইকুয়েশন পাওয়া মাত্র নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসা, বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, আশ্রয় কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লার নিচতলায় গবাদি পশুর আশ্রয় নিশ্চিত করন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সভায় সিভিল সার্জন বলেন, দুর্যোগ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে অসুস্থ ও ইনজুরি হওয়া রোগীদের নির্দিষ্ট একটি স্থানে চিকিৎসা সেবা দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন সাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এবং দুর্যোগ পরবর্তী কালীন সময়ে অসুস্থ ও ইনজুরি হওয়া সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা দিতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মেডিকেল টিম গঠন করা প্রস্তুতি রয়েছে। ডায়রিয়া স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট ও অন্যান্য চিকিৎসা সেবা প্রদানে এসব মেডিকেল টিম কাজ করবে।

জেলা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ন বেড়ীবাঁধ নির্মান ও সংষ্কার করতে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে। যাহাতে ফসল বর্তমান বোরো, চিনাবাদাম, ভুট্র, মরিচের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাচাতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলা বৈঠকে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করার কথা জাননো হয়েছে।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *