পটুয়াখালীতে ১০ বছরে শিশু ধর্ষণ অভিযুক্ত গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ | আপডেট: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ,

মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত: পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলায় চরকাজল ইউনিয়নের ১০বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ নং ওয়ার্ড বড় চরকাজল মৃত্যু ফজলে করিম হাওলাদারের ছেলে বশির হাওলাদার (৪৫)কে চরশিবা পুলিশ ফাড়ির এস আই মোক্তার হোসেন তার টিমসহ গ্রেফতার করে।

 

রোজ সোমবার (২৯ জানুয়ারী) আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বড় চরকাজল পুরাতন মঙ্গলবাড়িয়া বাজারের দক্ষিন পাশে এ ঘটনা ঘটে।

 

পরিবার সুত্রে ভিকটিমের মা প্রতিবেদকে জানান, ঘটনার দিন তাদের ফার্নিচারের দোকান পরিবর্তন কাজে পরিবারের সবাই ব্যাস্ত ছিলো। সন্ধ্যার দিকে মেয়েকে না দেখতে পেয়ে আশেপাশে খোজাখুজি শুরু করে কিছুক্ষন পরে ভিকটিম বাসায় আসলে তার চেহারার পরিবর্তন দেখে জিজ্ঞেসা করলে ঘটনাটি মাকে খুলে বলে ভিকটিম। পরে তার পিতা ও ভাই সহ পরিবারের অন্যান্যরা জানতে পারে।

 

অভিযুক্ত বশির কে সবুজের স্বমিলের সামনে দেখতে পেয়ে বাসায় ডেকে এনে জিজ্ঞেসা করলে ঘটনাট অস্বীকার করে। পরে ভিকটিমের পিতা ও ভাই বশিরকে মারধর দিলে বশির দৌড়ে রাস্তায় নেমে এসে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পারেন। পরে অভিযুক্ত বশির কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

 

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির তফদার ও ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক মজিবর খাঁন বলেন, লোকমুখে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত বশির হাওলাদার কে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনা অস্বীকার করে। তবে ভিকটিম ও তার পরিবারের বক্তব্যে বশির দোষী হয় সত্যি মিথ্যার ব্যাপারে আমার কিছু বলতে পারছুনা। তবে এধরনের ন্যাকারজনক ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কোন বিচার সালিশ কিংবা মিমাংসা করার এখতিয়ার আমাদের কারো নেই। তাই আইনানুগ বিষয়ে পুলিশি কার্যক্রম একান্ত আবশ্যক বলে জানান।

 

এ বিষয়ে আরও জানাগেছে, স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে চরকাজল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মোক্তার হোসেন ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত বশিরকে আটক করেন। এবং ভিকটিম এর বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।আগামীকাল সকালে ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট এর জন্য গলাচিপা থানার মাধ্যমে পটুয়াখালী মেডিকেলে পাঠানো হবে।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *