সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ৪৮ কেজিতে মন ধরে ধান ক্রয় গলাচিপায়

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৩ | আপডেট: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ,

মোঃ মোস্তফা কামাল খান: পটুয়াখালীর গলাচিপায় রতনদি তালতলী ইউনিয়নে মানিকচাঁদ ৮ নং ওয়ার্ডে রবিবার দুপুর ১ ঘটিকার সময় সরে জমিনে গিয়ে একটি ভিন্ন চিত্র দেখতে পেলাম। যেখানে আমরা সকলেই ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি ৪০ কেজিতে একমন হয় এবং ১০০০.gm এ ১ কেজি হয়। এখন নতুন করে দেখতে পাচ্ছি গলাচিপা পটুয়াখালী বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা ধান কিনে নিচ্ছে ৪৮ কেজি তে এক মন। এমনি একটি বাস্তব চিত্র সরে জমিনে গিয়ে দৈনিক সকালের সময়ে হাতে আসে।

 

ধান মাপা থেকে শুরু করে দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়টিকে নিয়ে সাধারণ কৃষকের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেল। এরই ধারাবাহিকত এখানে ধানের বেপারীরা অনেক লাভবান হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষক তাদের কষ্ট অর্জিত ফসল সোনালি ধান ৮ থেকে ১০ কেজি গচ্চা দিচ্ছে খুদ্র কৃষকেরা। লোকসানের মুখে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষক আলাউদ্দিন ও রিয়াজ বয়াতি জানান, সরকার ডিজিটাল মিটার অনুযায়ী যেই নির্ধারিত মাপে সারাদেশে ধান এবং চাউল বা অন্যান্য সামগ্রী ৪০ কেজিতে ১ মন মাপা হয় সেই অনুযায়ী আমাদের ধান গুলো যেন সেই পরিমাপে আমরা বিক্রি করতে পারি। সরকার তার মূল্য মুল‍্য ধরে দিলেও আমরা তাতে খুশি হব। আমরা কেন ৪৮ কেজি দিব সরকারের নির্ধারিত ওজন ৪০ কেজি। আমাদের কাছ থেকে ঠকিয়ে ৮ কেজি বেশি নিচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট ধাড়ি ধান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে আরো কয়েকজন কৃষক আলামিন লিটন শীল দীপ্তি হাওলাদার মোশারফ সরদার জানান আমরা আর ঠকবো না আমরা ৪০ কেজিতে ধানের মন বিক্রি করতে চাই ৪৮ কেজি চাইনা উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দাড়ি রাখলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে ঠকিয়ে আর ধান ক্রয় করতে পারবে না। আমরা সকল কৃষক, কৃষি অফিস তথা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। যাতে করে আমরা ন্যায্য মাপে ধান বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাই।

 

এ বিষয়ে মুঠোফোনে গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪০ কেজিতে ০১ মন হয় সেখানে বেপারীরা ৪৮ কেজি নিচ্ছে এটা সম্পূর্ণ কৃষক ঠকানো। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা ভোক্তা অধিকারের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান আদালত করে জরিমানা করলে হয়তো কৃষকের এ সমস্যা সমাধান হবে বলে আমি মনে করি। বিষয়টি আপনি ইউনো মহোদয় কে অবগত করেন যদি মাঠ পর্যায়ে আমার যেতে হয় তাহলে আমি কৃষকের সাথে মাঠে গিয়ে ন্যায্য মাপে ধান বিক্রি করতে উৎসাহিত করব।

 

এ বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কৃষকেরা যদি এ বিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমি অসাদু (বেপারী) ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *