গলাচিপায় জাল জলিয়াতী করে জমি অধিগ্রহণের টাকা ও জমি দখলের পায়তারা
![গলাচিপায় জাল জলিয়াতী করে জমি অধিগ্রহণের টাকা ও জমি দখলের পায়তারা গলাচিপায় জাল জলিয়াতী করে জমি অধিগ্রহণের টাকা ও জমি দখলের পায়তারা](https://globalnewsbd24.com/wp-content/uploads/2-1.jpg)
![গলাচিপায় জাল জলিয়াতী করে জমি অধিগ্রহণের টাকা ও জমি দখলের পায়তারা গলাচিপায় জাল জলিয়াতী করে জমি অধিগ্রহণের টাকা ও জমি দখলের পায়তারা](https://globalnewsbd24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় জাল জালিয়াতী করে অন্যের পৈতৃক জমি অধিগ্রহণের টাকা ও জমি দখলের পায়তারা করছেন গলাচিপা (এলজিইডি) অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান।
জাল জালিয়াতীর ঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের চারআনী বাউরিয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. শাহিন মাহমুদ হাওলাদার (৪২) বাদী হয়ে গত ২২ নভেম্বর পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুশুরীকাঠী গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিন মৃধার তিন ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (৫০), মো. খলিলুর রহমান (৪৮) ও মো. সিদ্দিকুর রহমানকে (৫২) আসামী করে সি.আর-১৫৯৮/২০২২ নং মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২৩ নং মৌজার ৪৫ নং খতিয়ানে ওয়ারিশ সুত্রে সৈয়দ আলীর পুত্র হাশেম হাওলাদার, হাশেম হাওলাদারের পুত্র আলাউদ্দিন হাওলাদারের ওয়ারিশ সুত্রে মালিকানাধীন জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড স্লুইসগেট নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করে।
গত ১৬ অক্টোবর উক্ত জমির রেকর্ডীয় মালিক আলাউদ্দীন হাওলাদারের ছেলে শাহিন মাহমুদ ও অন্যান্য ওয়ারিশগণ পটুয়াখালী এল.এ অফিসে উক্ত অধিগ্রহণের টাকার খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখেন, গলাচিপা (এলজিইডি) অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান গংরা অধিগ্রহণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসিয়া ইং ১৮/০১/১৯৬৬ তারিখের-১৪২ নং দলিল মূলে উপরে উল্লেখিত তফসীল ভূমির মালিকানা দাবী করে, যাহাতে অত্র মামলার আসামীরা গ্রহীতা হিসেবে আছেন।
মামলার বাদী শাহিন মাহমুদ কোন উপায়ান্ত না পেয়ে গলাচিপা সাব রেজিস্ট্রী অফিসে বিতর্কিত ১৪২ নং দলিলের সহিমোহর নকলের জন্য আবেদন করলে গত ২১ নভেম্বর ওই বিতর্কিত ১৪২ নং দলিলের সহিমোহর নকল প্রাপ্ত হয়ে দেখেন, উক্ত বিতর্কিত দলিলের দাতা এছমাইল শরীফ ওরফে ধলু শরীফ, গ্রহীতা আব্দুর রব মাদবর, আবদুল খালেক মাদবর ও শাহজাহান মাদবর।
উক্ত মামলার আসামিরা অত্র মামলার বাদী শাহিন মাহমুদের পূর্ববর্তী মালিক হামজেদ আলী, আ. করিম, আ. মতিন, জয়গুন বিবি ও আমিনা খাতুনকে দাতা দর্শাইয়া জাল জালিয়াতীর মাধ্যমে দলিল সৃষ্টি করিয়া নিজেদেরকে বিরোধীয় জমির খাটি মালিক হিসেবে ভোগদখল করার পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহিন মাহমুদ গত ১৭ নভেম্বর পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন, যাহাতে ওই দুর্নীতিবাজ হাবিবুর রহমান গংরা জাল জালিয়াতীর মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করতে না পারে।
মামলার বাদী শাহিন মাহমুদ ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। উক্ত মামলার প্রধান অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।