কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টি নীরব, আলোচনা নেই বিএনপিতে, আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী

প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩ | আপডেট: ২:১৬ অপরাহ্ণ,

হীমেল কুমার মিত্র,স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রাম একসময় ছিল জাতীয় পার্টির ঘাঁটি। জেলার সবক’টি আসনই তাদের দখলে থাকতো। কিন্তু এখন সেই চিত্র আর নেই। টানা ৩ মেয়াদে থাকা আওয়ামী লীগের দখলে চলে গেছে জেলার ৩টি আসন। এ দলেরও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন একাধিক। রয়েছে গ্রুপিংও। তবে মাঠে আওয়ামী লীগের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক শক্ত। এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা পনির উদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে জাতীয় পার্টিতেও রয়েছে কোন্দল।

 

জেলা ও উপজেলায় পাল্টাপাল্টি কমিটির কারণে সাংগঠনিক তৎপরতায় ভাটা পড়েছে। বর্তমানে দুই গ্রুপে বিভক্ত জেলা বিএনপি। আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও প্রার্থী নিয়ে আলোচনা নেই বিএনপিতে।

 

সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি মো. জাফর আলী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু প্রার্থী হলেও এবার কিছু নতুন প্রার্থী ছুটছেন ভোটারদের কাছাকাছি। প্রার্থীরা চালাচ্ছেন জনসংযোগ ও তুলে ধরছেন উন্নয়নের বিভিন্ন ফিরিস্তি।

 

নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে কুড়িগ্রাম-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। মাঠে-ঘাটে ভোটের উত্তাপ বইতে শুরু করেছে। চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীর দোষ-গুণ নিয়ে আলোচনা। এদিকে, মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পরিচিতি বাড়াতে নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়ে সরগরম করে তুলছে ভোটের মাঠ। সেইসঙ্গে মনোনয়নের জন্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তদবিরও রক্ষা করে চলছেন তারা।

 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত প্রার্থী নিয়ে চিন্তার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপি’র একাধিক নেতাকর্মী। তারা আন্দোলনের মধ্যে আছেন এবং আন্দোলন সফল হওয়ার পরই তারা প্রার্থী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার রবিউল আলম সৈকতের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে এডভোকেট ইয়াছিন আলীর। তিনিও পোস্টারের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান ভোটারদের।

 

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এজিএস, একুশে পদকপ্রাপ্ত, পিপি এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু মো. সাঈদ হাসান লোবান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, পঙ্গু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট চিকিসৎক ডা. হামিদুল হক খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ সম্পাদক ও চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সুফিয়ান। তারা সবাই গণসংযোগ করছেন ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তবে এবার কিছু নতুন প্রার্থী ছুটছেন ভোটারদের কাছাকাছি। প্রার্থীরা চালাচ্ছেন জনসংযোগ ও তুলে ধরছেন উন্নয়নের ফিরিস্তি।

 

কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের বিপ্লবী ও ত‍্যাগী সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের অন‍্যতম সদস্য, কুড়িগ্রাম -২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী; পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত এড. আলহাজ্ব মোঃ রুহুল আমিন দুলাল বলেন, উন্নয়নের সুফল পেতে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ২৬ কুড়িগ্রাম-২ আসনটি উত্তরের জেলার প্রাণকেন্দ্র।কিন্তু কুড়িগ্রাম-২ সদর আসনে দীর্ঘদিন দলীয় এমপি না থাকায়, সে দিক থেকে আমরা অনেকটা পিছিয়ে। আওয়ামী লীগ সরকারে না আসলে জামায়াত-বিএনপি আবারও নৈরাজ্য শুরু করে দেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। এতে করে থমকে যাবে উন্নয়ন।

 

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে। তাই সকল ষড়যন্ত্রকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গীকার হলো দেশের জনগণের উন্নয়ন করা। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে কাজ করছেন। তাই সারাদেশের নেতাকর্মীদের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের পতাকা তলে এক হয়ে কাজ করতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকার কোনো বিকল্প নাই এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন‍্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বিজয় নিয়ে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।



একটি মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *